ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫ , ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আটক প্রায় শতকোটি টাকা হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা ব্যবসায়ীরা হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ড. ইউনূস জাতিকে দানবীয়-ফ্যাসিবাদের স্বাদ চাখালেন মাত্র এক বছরে-কাজী মামুন সময় কম, ফেব্রুয়ারির মধ্যে যতটা সম্ভব সংস্কার করে যাব-অর্থ উপদেষ্টা ভোটের আগে লটারিতে এসপি-ওসিদের বদলি-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শুক্রবার থেকে যমুনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ জুলাই ঘোষণাপত্র নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের শুরু : ফখরুল ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক আগমীকাল জাতীয় স্বার্থে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বাহার বাড়ি ফিরলেও হারিয়েছেন মা-স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ জন আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও এআই দিয়ে বানানো- হাসিনার আইনজীবী স্কুলের ল্যাবে বিকট শব্দ আগুন আতঙ্কে হুড়োহুড়িতে আহত ৫০ গাজীপুরে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মেলন আশুলিয়ায় অভিযান, নারীসহ আটক ১২ রাজধানীতে মোটরসাইকেল আরোহী নারীর মৃত্যু শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘কোল্ড অ্যান্ড হট টেস্ট’ সম্পন্ন ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম নুরুজ্জামান ভারতে পাচার করেছে শতকোটি টাকা

বটতৈল ইউনিয়নে অসহায় মহিলাদের বরাদ্দ চাউলের কার্ড পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা

  • আপলোড সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ১১:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ১১:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন
বটতৈল ইউনিয়নে অসহায় মহিলাদের বরাদ্দ চাউলের কার্ড পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদে গরিব অসহায় মহিলাদের সরকারি মহিলা বিষয়ক অধিদফতর থেকে ভিউব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে জনপ্রতি চাউলের কার্ডের জন্য আবেদন করার পরে ১১৯ জন নির্বাচিত করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য গণ। কিন্তু এই চাউলের কার্ড পাবে গরিব অসহায় ভূমিহীন মহিলাগণ। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, বটতৈল ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডে মীর আবু আব্দুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী আয়া মোছা. মিনা খাতুনের নামে চাউলের কার্ডে নাম এসেছে। এই নিয়ে বটতৈল ইউনিয়নে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের মাঝে। তারা বলছেন যে গরিব অসহায় মহিলাদের চাউলের কার্ড কেনো একজন চাকরিজীবী পাবে। এই বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার কাজলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে যে সরকারি চাকরি করে তার নাম এসেছে কার্ডে এই বিষয়ে আমি জানি না মনে হয় সমাজ সেবা অফিসার তার নাম দিয়েছে। এছাড়াও বটতৈল ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড কবুরহাট উওর পাড়া নিবাসী এলাকায় প্রভাবশালী এবং একজন ধনী ব্যক্তি রাশিদুল ইসলাম তার বউ সুলতানা খাতনের নামে চাউলের কার্ডে নাম এসেছে। এই বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বলেন, রাশিদুলের বউয়েঃর নামে চাউলের কার্ড হয়েছে কারণ রাশিদুল নেশা করে তাই তার বউকে কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেখা গেছে ৬নং ওয়ার্ডে কবুরহাট উওর পাড়া মেরিনা নামে একজনের নামে কার্ডে নাম এসেছে। তার স্বামী আক্তারের পাকা বাড়ি এবং সে একজন চাকরি করেন তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো। তিনি পান গরিব অসহায়দের জন্য বরাদ্দ দেওয়া চাউলের কার্ড। এছাড়া ও ৬নং ওয়ার্ডে যাদের চাউলের কার্ডে নাম এসেছে বেশিরভাগ তাদের বাড়িঘর পাকা এবং চাকরিজীবী। এছাড়া বটতৈল ইউনিয়নে উদ্যোক্তা জহির তার নামে একটা কার্ড বরাদ্দ আছে তিনি সেই কার্ডটি তার বোনের নামে দেন। তার বোনের বাসা অন্য ইউনিয়নে। এছাড়া ১১৯ জনের ভিতরে ৪ নং সিরিয়ালে খাজানগরে বাড়ি ফরহানা ইয়াসমিন নামে একজন মহিলার কার্ড হয়েছে। যার স্বামী একজন আইএফআইসি ব্যাংকে চাকরি করেন। এছাড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে বেশির ভাগ এই গরিব অসহায়দের দেয়ার জন্য কার্ডের তালিকায় নাম এসেছে সরকারি কর্মচারী, বিআরবিতে চাকরিজীবীর বউ বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা ছাড়াও যাদের পাকা বাড়ি ঘর আছে মাঠে জমি জায়গায় আছে তাদের ও এই চাউলের কার্ডে নাম এসেছে। বটতৈল ইউনিয়ন কবুরহাট গ্রামে বিধবা অভিভাবকহীন সুলতানা খাতুন জানান যে আমার স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেলে ২ সন্তান রেখে। তারপর আমি আমার মুরুব্বি শ্বশুরের ইনকামে ২ সন্তান নিয়ে জীবনযাপন করতে থাকি। বছর দুই আগে তিনিও মারা যান। এখন আমরা মানবতার জীবনযাপন করি। কোন চেয়ারম্যান মেম্বার আমাদের সাহায্য করে না। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বটতৈল ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি হান্নান বলেন, ৫ আগস্ট-এর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান-মেম্বার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরকারি যত বরাদ্দ আসতো তা সব তারা লুটপাট করে জনগণকে না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করতো। ৫ আগস্টের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি ইউনিয়নে একজন বিএনপির প্রতিনিধি একজন জামায়াতের প্রতিনিধি দেন। যাতে করে ইউনিয়ন যে কোনো সমস্যা এবং ইউনিয়নের যে কোনো উন্নয়ন করার জন্য সকলকে নিয়ে পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে পারে চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ। কিন্তু এই চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ কিছুদিন আমাদের মিটিংয়ে ডাকতো। এখন তারাই সব করে আমাদের বিএনপি-জামায়াতে কাউকে ডাকে না। তাদের ইচ্ছেমতো গরিব অসহায়দের জন্য কার্ডগুলো এলাকায় ধনী বিত্তবান শ্রেণির মানুষ এবং চাকরিজীবীদের পরিবারে ও কার্ড করে দিচ্ছেন। এই বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এই নামের তালিকাগুলো ইউনিয়ন সদস্যগণ দেন। ভুল হতে পারে এই বিষয়ে নিয়ে লেখালেখি দরকার নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ